মাটির ব্যাংকের জমানো টাকায় হতদরিদ্রদের ইফতার
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
কলাপাড়া প্রতিনিধি : রোদেলা ও মেহেলী। দুই বোন। তিল তিল করে মাটির ব্যাংকে সঞ্চয় করেছিল কিছু টাকা। কিন্তু তাদের পিতা সাবেক ছাত্র লীগ নেতা ও সংবাদিক সাইফুল ইসলাম রয়েল সেই টাকা দিয়ে ৫০টি অসহায় হতদরিদ্র পরিবারকে মাহে রমজানে ইফতার সামগ্রী কিনে দিয়েছেন।
এমন ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায়। গত কয়েক দিন ধরে তিনি পৌর শহরের অতিদরিদ্র মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তিনি এসব খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। মনবতার এই ফেরিওয়ালাকে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন।
জানা গেছে, রয়েল’র বে-সরকারি একটি টেলিভিশনে কালাপাড়া প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছে। বৈশি^ক মহামারী করানোয় পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এছাড়া গৃহবন্দী হয়ে পড়ে হতদরিদ্র পরিবার। কাজ কর্ম না থাকায় অনেকেরই ইফতার কিনে খাওয়ার মত সামার্থটুকুও নেই। এ বিষয় নিয়ে ঘরে বসে তার স্ত্রীর সাথে আলাপ করে মানুষের দূরাবস্থার কথা।
এসময় তিনি বলেন আমার যদি টাকা থাকতো তাহলে এই মূহুর্তে অসহায় মানুষকে মাহে রমজানের ইফতার সামগ্রী কিনে দিতাম। কথাগুলো শুনতে পায় তার দুই মেয়ে রোদেলা ও মেহেলী। সাথে সাথেই দু’টি মাটির ব্যাংক তাদের বাবার কাছে হাজির হয়। তারা বলে বাবা এর মধ্যে জামানো কিছু টাকা আছে। এ টাকা দিয়ে ওইসব মানুষকে ইফতার সামগ্রী কিনে দিতে পারবে। এমন কথা শুনে তাদের বাবা-মা অবাক। কি আর করার। মাটির ব্যাংক ভেঙ্গে পাওয়া যায় ৩৭শ’ ২৪ টাকা। এই টাকার সাথে তার কিছু টাকা যুক্ত করে ইফতার সামগ্রী কিনে মানুষের দুয়ারে গিয়ে পৌঁছে দিয়েছেন।
সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম রয়েল’র রড় মেয়ে রোদেলা বলে, করোনা পরিস্থিতিতে অনেকেই ইফতার সামগ্রী কেনার সামর্থ নেই। আর আমার বাবা মানুষের কষ্ট সইতে পরেনা। তাই আমাদের দুই বোনের দুই মাটির ব্যাংক বাবার হাতে দিয়েছি। এতে জমিয়ে ছিলাম টাকা রয়েছে।
সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম রয়েল বলেন, বৈশি^ক মহামারী করানোয় পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় আমি আমার মেয়েদের জমানো টাকা দিয়েই প্রায় ৫০ অতিদরিদ্র পরিবারকে ইফতার সামগ্রী দিতে পেরেছি। প্রতিটি পরিবারকে এক কেজি মুড়ি,এক কেজি ছোলা বুট, এক কেজি চিড়া, এক কেজি চিনি, ৫০০ গ্রাম খেজুর ও এক প্যাকেট ট্যাং দেয়া হয়েছে।