দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে কঁচা নদীতে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর নির্মাণকাজ
Deprecated: preg_split(): Passing null to parameter #3 ($limit) of type int is deprecated in /home/barishaldorpon/public_html/wp-content/themes/jannah/framework/functions/post-functions.php on line 791
পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের বেকুটিয়া-কুমিরমারা পয়েন্টে কঁচা নদীর উপর অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। নির্মাণকাজে করোনার কোনো প্রভাব পড়েনি। এরই মধ্যে সেতুর তিন ভাগের দুই ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন সেতুর সুপার স্ট্রাকচার এবং এপ্রোচ সড়কর নির্মাণকাজ চলছে। আগামী বছরের জুনে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাবাসীর স্বপ্ন বেকুটিয়া সেতু উদ্বোধনের আশা করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সেতুটি চালু হলে বরিশাল-পিরোজপুর-বাগেরহাট-খুলনা ও মংলা সমুদ্র বন্দরে যাতায়াতে সময় অনেক কমবে।
সওজ কাউখালীর উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, তিনি সম্প্রতি কঁচা নদীর উপর বেকুটিয়া সেতু নির্মাণের সার্বিক অগ্রগতি সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। এ সময় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) প্রধান প্রকৌশলী আবদুস সবুর, বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু হেনা মো. তারেক ইকবাল এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাসুম মাহমুদ সুমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সেতু বিভাগের তথ্য সূত্রে জানা যায়, বেকুটিয়া-কুমিরমারা পয়েন্টে কঁচা নদীর উপর সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের জুলাই মাসে। জিটুজি পদ্ধতিতে সেতু নির্মাণের দায়িত্ব পায় চীনের ‘চায়না রেলওয়ে সেভেনটিন ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড।’ সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৯৮ কোটি টাকা।
এর মধ্যে ৬৫৪ কোটি টাকা গ্রান্ড অনুদান দিয়েছে চীন সরকার। বাকি ২৪৪ টাকার জোগান দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। ৪২৯ মিটার ভায়াডাক্টসহ সেতুর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৪২৭ মিটার এবং প্রস্থ ১০ দশমিক ২৫ মিটার (ডবল লেন)। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৯৯৮ মিটার। ১০টি পিলার এবং ৯টি স্প্যানের ওপর দাঁড়িয়ে আছে বক্স গার্ডার টাইপ এ সেতু। ৯টি স্প্যানের সাতটি ১২২ মিটার এবং ৭২ মিটার স্প্যান রয়েছে দুটি।
গত ৩ বছরে সেতুর ৭২ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২২ সালের জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই এ সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার প্রত্যাশা সড়ক ও জনপথের সেতু বিভাগের কর্মকর্তাদের। বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ও পিরোজপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাসুম মাহমুদ সুমন বলেন, বরিশাল-খুলনা সরাসারি সড়ক যোগাযোগে সব শেষ প্রতিবন্ধকতা বেকুটিয়ার কঁচা নদী। এ সেতু চালু হলে খুলনা, মংলা ও বাগেরহাট অঞ্চলের সঙ্গে পায়রা সমুদ্র বন্দর এবং রাজধানী ঢাকার সড়ক যোগাযোগ আরও সহজ হবে।
এতে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং পর্যটনে গতি আসবে বলে আশা করেন তিনি। অষ্টম চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু নির্মাণে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও শ্রমিকরা দিনরাত কাজ করছেন। আগামী বছরের জুনে সেতু উদ্বোধন হলে বরিশাল এবং খুলনা বিভাগের মধ্যে সড়ক পথে যাতায়াত সময় ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা কমে যাবে। এছাড়া ফেরিঘাটে দীর্ঘ ভোগান্তিরও অবসান ঘটবে।